প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচজন নারী যাত্রী নিয়ে ঘোড়াশালের ঘোড়া চত্বর থেকে পাঁচদোনার দিকে যাচ্ছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি কুকুর দ্রুতগতিতে অটোরিকশার সামনে চলে আসে। চালক কুকুরটিকে বাঁচাতে তৎক্ষণাৎ ব্রেক কষেন, যার ফলে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। কুকুরটি বেঁচে গেলেও অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে মারা যান চালকের পাশে বসা ময়ূরী বেগম। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে জড়ো হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় ময়ূরী বেগমের মরদেহ সিএনজির নিচ থেকে বের করে আনা হয়। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এদিকে, আহত সিএনজিচালককে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পলাশ থানার উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম। তিনি নিহত ময়ূরী বেগমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দেন এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন। উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, “কুকুর বাঁচাতে গিয়ে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়, ফলে একজন বৃদ্ধা নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, রাস্তা পারাপারের সময় এমন পরিস্থিতি এড়াতে চালকদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।